Android Tips

Image result for phone style 


অপারেটিং সিস্টেম

স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম বাছাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ আপনার ফোনের সফটওয়্যার রিলেটেড সকল এক্সপেরিয়েন্স এই অপারেটিং সিস্টেমের উপরই নির্ভর করবে। বর্তমানে ব্যবহারকারী সংখ্যা বিচারে এন্ড্রয়েড ওএস চালিত স্মার্টফোনের পরিমাণই সবচেয়ে বেশি। গুগলের তৈরি এই অপারেটিং সিস্টেমটি অনেক ফ্লেক্সিবল ও ফ্রি হওয়াতে ছোট বড় সব কোম্পানিই এই ওএস ব্যবহার করে। আধুনিক সব ফিচারই এতে আছে আর প্রায় সকল মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপারই এন্ড্রয়েডের জন্য তাদের অ্যাপ তৈরি করে।
অ্যাপলের আইওএস ও খুবই জনপ্রিয় এবং ফিচারবহুল। এর অ্যাপ স্টোরও অনেক সমৃদ্ধ। তবে অ্যাপলের ডিভাইসগুলোর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়াতে সব শ্রেণির মানুষ এগুলো ব্যবহারের সুযোগ পায়না। এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে। যেমনঃ মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ, সেইলফিশ ওএস, ফায়ারফক্স ওএস ইত্যাদি। তবে প্রয়োজনীয় ডেভেলপার এনগেজমেন্ট না থাকায় এন্ড্রয়েড ও আইওএস ব্যতীত অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেমের ফোন এখন না কেনাটাই যুক্তিযুক্ত।

 Image result for ram speed phone

র‍্যাম

আগেই বলে রাখছি- ফোন, পিসি বা এরকম ইলেকট্রনিকস ডিভাইসে মেমোরি দুই ধরনের। একটা হচ্ছে রম ও আরেকটা হচ্ছে র‍্যাম। র‍্যাম হল অস্থায়ী মেমোরি যাতে প্রসেসর ডেটাগুলোকে অস্থায়ীভাবে জমা রাখে। তাই র‍্যামের পরিমাণ সাধারণত রম বা স্টোরেজের চেয়ে অনেক কম হয়। র‍্যাম যত বেশি হবে আপনার ফোনও তত স্মুদলি চলার সম্ভাবনা বেশি হবে। পাশাপাশি ব্যাকগ্রাউন্ডেও আপনি অনেক অ্যাপ চালু রাখতে পারবেন। চায়নিজ ব্র্যান্ডগুলোর কাছে ৬জিবি র‍্যাম দেয়া কোনো ব্যাপারই না!
সাধারণত বর্তমানে লো-এন্ড স্মার্টফোনেও ১ জিবি র‍্যাম থাকে। তবে ১ জিবি র‍্যামের স্মার্টফোন না কেনাটাই ভালো। মিডরেঞ্জ ফোনে ২ থেকে ৪ জিবি ও কিছু কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ৬-৮ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম থাকে। তবে বেশি দাম দিয়ে বেশি র‍্যামওয়ালা ফোন কেনার আগে আপনার আসলেই এতো পরিমাণ র‍্যাম লাগবে কি না কিংবা আপনার প্রসেসর এই র‍্যাম এর যথার্থ ব্যবহার করতে পারবে কি না সেটাও বিবেচ্য। বর্তমানে মধ্যম দামের এন্ড্রয়েড স্মার্টফোন কিনলে ২জিবি র‍্যামের নিচে না কেনাই ভাল। যদি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনেন, তাহলে র‍্যামের ব্যাপারে এত না ভাবলেও চলবে।

ডিসপ্লে

স্মার্টফোনগুলোতে সব ইন্টার‍্যাকশন মূলত এর স্ক্রিন দিয়েই হয়। তাই এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোনের স্ক্রিন আজকাল  পাঁচ থেকে সাড়ে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত ‘কমন’ ধরা হয়। আপনি এক হাতে ফোন ইউজ করতে চাইলে সাড়ে পাঁচ ইঞ্চির উপরে না যাওয়াই ভালো। বেশি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেতে কন্টেন্ট বেশি স্পষ্ট ও ঝকঝকে দেখায়। তাই কমপক্ষে এইচডি রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লে নেয়া ভালো। আজকাল ভাল মানের ফোনগুলোতে ফুল এইচডি থেকে শুরু করে ৪কে রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেও পাওয়া যায়। স্ক্রিনের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাতও বিবেচ্য বিষয়। ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোর অন্যতম আকর্ষণ এদের চমৎকার স্ক্রিন
আধুনিক স্মার্টফোনের ডিসপ্লের এস্পেক্ট রেশিও ১৮:৯ কিংবা ১৮.৫:৯ হয় যা আগের ১৬:৯ এস্পেক্ট রেশিওর ফোনের চেয়ে বেশি চিকন। ফলে হাতে ধরতেও সহজ আবার দেখতেও সুন্দর লাগে। আপনার ফোনের প্যানেলটি কি এলসিডি, ওলেড নাকি এমোলেড সেটিও দেখতে পারেন। কারণ একেক প্রযুক্তির ডিসপ্লেতে একেক ধরনের ফিচার রয়েছে। এলসিডি স্ক্রিনের ফোনের দাম এমোলেড কিংবা ওলেড স্ক্রিনের চেয়ে তুলনামূলক কম। ফোন কেনার আগে দোকানের স্যাম্পল ডিভাইসে অবশ্যই স্ক্রিন কোয়ালিটি দেখে নিবেন। 
 আরও ইত্যাদি
 
 
Previous
Next Post »